মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাঁকে চিঠি ধরাল কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দপ্তর। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে চিঠির জবাব দিতে হবে। এমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। ঘূরণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় আগেই শোকজ করা হয়েছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সোমবারই কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দপ্তরের তরফে জানানো হয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলসের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাঁকে অবশ্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। সশরীরে প্রাক্তন মুখ্যসচিব তদন্ত প্রক্রিয়ার সামনে হাজির হবেন কিনা তা জানাতে হবে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই চিঠির উত্তর দিতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে। এমনকী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে জবাব পাওয়া না গেলে একতরফা পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দপ্তর।
কর্মজীবনের শেষ দিন আলাপনবাবুকে দিল্লিতে কর্মিবর্গ মন্ত্রকে হাজিরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই অবসরগ্রহণ করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অবসরের পরও এই আইপিএস-এর প্রতি কেন্দ্র যে নরম নয় এদিনের চিঠির পর তা স্পষ্ট হচ্ছে।
আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের নেতা তাপস রায় বলে দেন, “এর মধ্যে দিয়ে বাংলার প্রতি মোদি সরকারের আক্রোশ, রাগেরই প্রকাশ পেল। মানুষের কাছে নিজেরাই নিজেদের হেয় প্রতিপন্ন করছে। হিংসার রাজনীতি করে চলেছে বিজেপি।” এ প্রসঙ্গে পালটা দিয়ে পদ্মশিবিরের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এনিয়ে তৃণমূল বা বিজেপির কিছু বলার নেই। আইনের ধারাতেই সবটা হচ্ছে।”