নারদা কাণ্ডের মামলায় জেল হেফজতে থাকা চারজন অভিযুক্ত হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীই অসুস্থ বাকি তিন জনের চিকিৎসা এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্নে চললেও ফিরহাদ হাকিম রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে ।
শুনানির আর হাতে গোণা কয়েক ঘণ্টা বাকি। তার আগে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন মদন মিত্র। এদিন সকালে কামারহাটি বিধায়ক শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করায় তাঁর সিটি স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে সোমবার ভোররাতেই এসএসকেএম-এ আনা হয় নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এই অভিযুক্ত বিধায়ককে।
সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা সাবধানে থাকুন।’মদন মিত্র যখন হাসপাতালে তখন মদন মিত্রের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মঙ্গলবার একটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘ ধন্যবাদ CBI এবং BJP। সমস্ত প্রতিকূলতা সরিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মদন মিত্র। তিনি শুধু জয়ী হয়েছেন এমনটাই নয়, তিনি যে মার্জিনে জয়ী হয়েছেন, তা কামারহাটির ইতিহাসে রেকর্ড।আপনার ক্ষমতা রয়েছে আপনারা তাঁকে অন্ধকারে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ এতটাও বোকা নয়। সত্যের জয় হবে।’

অন্যদিকে, অসুস্থ ফিরহাদ হাকিমও। যদিও তিনি জেল হাসপাতালেই চিকিৎসায় স্বচ্ছন্দ। জ্বর থাকায় করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সূত্রের খবর, Rapid করোনা টেস্টে ফিরহাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সূত্রের খবর, তাঁকে নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি না করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সংশোধনাগারে যাওয়ার পথেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম । রাতেই সংশোধনাগারে হাসপাতালের রাখা হয় তাঁকে।
সংশোধনগার সূত্রে খবর, এক কর্তাকে তিনি পরিষ্কার করেই জানিয়েছেন, কোনওরকম বাড়াবাড়ি তাঁকে নিয়ে করার দরকার নেই। কেউ যাতে বিরক্তও না করে। হাসপাতালে তাঁর জ্বর আসে। প্রায় ১০২ জ্বর আসে ফিরহাদের। সঙ্গে রয়েছে পেটে ব্যথাও। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী নিজে হাসপাতালে যেতে রাজি হননি। সংশোধনাগারের এক কর্তা মানছেন, অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত ব্যবহার করছেন তিনি। একটাই আর্জি তাঁর, কোনওরকম বাড়াবাড়ি যাতে না করা হয়। জ্বর আসলেও হাসপাতালে ছাড়তে রাজি হননি তিনি।