সন্দেহজনকভাবে এক চিনা নাগরিককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে মিলিক সুলতানপুর এলাকায় ঢুকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জাওয়ানদের বিষয়টি জানান তারা । সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘোরাঘুরির করার সময় তাঁকে আটক করে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ (BSF)। তাঁর কাছ থেকে প্রচুর নগদ টাকা এবং অত্যাধুনিক গ্যাজেট উদ্ধার হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে তিনি এ রাজ্যে ঢুকেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে জেরাও। বিএসএফ সূত্রে খবর, কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মিরিক সুলতানপুরে এই চিনা নাগরিককে ঘুরতে দেখা যায় সকালের দিকে।
মালদহের লাগোয়া বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ। দুদিকের মধ্যে চোরা পথে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাওয়া করে চোরাকারবারিরা। ধৃত চিনা নাগরিক কি তেমনই পথে এসেছেন ভারতে? উঠছে এই প্রশ্ন। বেশকিছুটা এলাকায় বেড়া দেওয়া হয়নি। এই এলাকা বরাবরই জাল নোট পাচারের স্বর্গরাজ্য। বহু অপরাধীও এই এলাকায় গাঢাকা দিয়ে থাকে। এমন এলাকা থেকে তাঁকে এখনও পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, “আমাদের কাছে এথনও হস্তান্তর করা হয়নি। হাতে পেলে তদন্ত করে দেখব।” পুলিশেক অন্য একটি সূত্রের খবর, ওই চিনা নাগরিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। প্রকৃতি দেখতে দেখতে সীমানা পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়েন। তবে তাঁর বয়ানে অসংগতি রয়েছে বলেও খবর। আটক চিনা নাগরিকের বয়ানেরসত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী।
চিনের বহু নাগরিক কর্মসূত্রে বাংলাদেশে থাকেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্পে তাঁরা কাজ করেন। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ। কোনওভাবেই চেকপোস্ট দিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর বাংলাদেশে থাকা চিনা নাগরিকরা অনেকেই আটকে পড়েছেন। ভারতেও অনেক চিনা নাগরিক থাকেন কর্মসূত্রে। তাঁরাও আটকে আছেন এ দেশে।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মিলিক সুলতালপুর এলাকায় চিনা নাগরিককে আটকের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে তিনি যদি সত্যিই ভুল করে এ দেশে ঢুকে থাকেন তাহলে দিল্লি-বেজিং কূটনৈতিক দৌত্যের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিকে চিনে ফিরিয়ে দেবে বিএসএফ-ই।