২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার জেরে বাংলা ছেড়ে অনেকেই ভিনরাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সাহায্য নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য সরকার, তা জানতে চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট । নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় মৃত্যুর তদন্তে SIT গঠনের আবেদন জানিয়ে আগেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নিহতদের পরিবার। শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ৭ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন ও এসসিএসটি কমিশনকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ ।
আজ, বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি বিআর গাভালের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানির পর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই নোটিস দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে। আবেদনকারীরা হলেন, অরুণ মুখোপাধ্যায়, দেবযানী হালদার, প্রশান্ত দাস, পারমিতা দে, ভূপেন হালদার। এর মধ্যে অরুণ মুখোপাধ্যায় ও দেবযানী হালদার সমাজকর্মী এবং প্রশান্ত দাস কোচবিহারের বাসিন্দা, যিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বলে দাবি। পারমিতা দে ও ভূপেন হালদার, দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবী। এদের ঘর ও অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠন অথবা সিবিআই চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। গত মঙ্গলবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রত্যুত্তর জানাতে বলে সর্বোচ্চ আদালত। এ দিন শুনানির শেষ জানানো হয়, আগামী ৭ জুন ফের এই আবেদনের শুনানি হবে।