ছেলেদের আবার রূপ চর্চা লাগে নাকি? এই কথা ভেবে যারা ভ্রু কুঁচকে ফেললেন তাদের জন্য আমাদের আজকের টপিক।
আমরা ভাবি রূপ চর্চা শুধু মাত্র নারীদের জন্য। নাহ্ একেবারেই তা নয়, রূপ চর্চার বিষয়ে নারী – পুরুষ সমান গুরুত্বপূর্ণ। লাবণ্যময়, তারুন্য দীপ্ত আর ঝকঝকে ত্বক বা চুল কে না পেতে চায় বলুন। একটা সুন্দর মুখশ্রী কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর একটি মাধ্যমও। ছেলেদের চুল বা স্কিন কোনোটাই কিন্তু মেয়েদের মত নয় একেবারেই অনেক পার্থক্য থাকে। অবহেলা এবং ব্যস্ততা এই ২ কারণে ছেলেদের ত্বক এবং চুল উপেক্ষিত। আমরা জানি সাফল্যের কোনো শর্ট কাট হয় না, তাই রোজ স্নানের সময়ে একটু সময় বের করে নিজের যত্ন নিন।নিজেকে ভালবাসুন তবে তো অন্যকে ভালোবাসতে পারবেন।
দিনের শুরু টা করুন ফেশ ওয়াশ দিয়ে
ছেলেদের স্কিন টাইপ অন্য হবার কারণে ফেসওয়াশও অন্য হওয়া দরকার। অফিস গিয়ে কাজ করুন বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম ফেসওয়াশ ইউজ করা মাস্ট। যে কোনও ভালো ব্র্যান্ড এর ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী যেটা কিনা আপনার ত্বকের ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করতে সক্ষম ।
শেভিং
Neat and clean shaving এখন অনেক ছেলেরা পছন্দ করেন না। হালকা দাড়ি থাকলে বেশ হ্যান্ডসামও লাগে, সেক্ষেত্রে trimmer use করুন । ত্বকে কোনো ব্রন থাকলে খুব সাবধানে trim করন। ব্রনের ওপর আঘাত আসলে দাগ ছোপ হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। দাড়ির উল্টো দিকে shaving করবেন না এতে কেটে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
KTM এর ব্যবহার
KTM এই শব্দ টিতে ছেলেরা একেবারে অভ্যস্ত নয়। cleansing – toning – moisturising।
ছেলেদের ত্বকে
১. oil-dirt-polution বেশি পরিমাণে জমা হয়। যার জন্য বলা হয় ভালো ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন মুখ ক্লিন করুন।
২. মেনসদের জন্য কোনো specialised কোনো টোনার ইউজ করুন, এটা আপনার স্কিন কে কুঁচকোতে দেবে না।
৩. Liquid former moisturizer use করুন, এটি ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষে নেবে এবং ত্বককে উজ্জীবিত করবে। এছাড়া আপনি এলভিরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
সানস্ক্রীন ও স্ক্রাবার
রোদে বেরোবার আগে সানস্ক্রীন মাস্ট । SPF 40,SPF 50, SPF 60 যেটা আপনার মনে হচ্ছে আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী এবং কতক্ষণ আপনাকে রোদে থাকতে হবে সেটার ওপর নির্ভর করে SPF বাছুন।
সপ্তাহে ২ কি ৩ দিন স্ক্রাব করুন, ছেলেদের জন্য চারকোল স্ক্রাবার খুবই ভালো। স্ক্রাব আপনার ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
চুলের যত্নে হেয়ার জেল
চুলে তেল দেওয়া উচিত, তেল হল চুলের খাদ্য কিন্তু বেশি তেল চুলে কখনোই দেবেন না, কিন্তু পরিমিত। হেয়ার জেল মাখলে আপনার চুলের স্টাইল বজায় থাকে চুল উজ্জ্বল দেখায়।
শাম্পুর পর কন্ডিশনার এর ব্যবহার
শাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত এতে আপনার চুল ঝরঝরে থাকবে। কন্ডিশনার শুধু চুলে এপ্লাই করুন গোড়ায় বা Scalp এ নয়। চুল নরম আর স্বাস্থ্য উজ্জ্বল রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুলে কালার করবার উপায়
বাইরের কেমিক্যাল দিয়ে চুলে কালার না করাই ভালো এতে আপনার চুল রুক্ষ শুষ্ক আর প্রাণহীন হয়ে পড়বে। চুলে মেহেন্দি করুন তাতে আমলকীর গুঁড়ো আর দুধ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলে এপ্লাই করুন চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে আর কালারও হয়ে যাবে।
এছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন, চা-কফি-ধূমপান এগুলো থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার স্বাস্থ্য-ত্বক-চুল তিনটি ভালো থাকবে।