জাফরান ফল থেকে সংগৃহীত এক প্রকার মসলার যা সাধারণভাবে “জাফরান ক্রোকাস” নামে পরিচিত। যে কোন খাবারে জাফরান ব্যবহার করলে সেই খাবারের স্বাদ এবং রঙ অনেক বেড়ে যায়, বিশ্বের সবথেকে ধনী মসলার জাফরান বা কেশর।
খাবারের স্বাদ ঘ্রাণ রঙ বাড়িয়ে তুলতে এই “গোল্ড স্পাইস” এর জুড়ি নেই। তবে জাফরানের কাজ শুধু এরই মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জাফরানের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুন, রয়েছে বিস্ময়কর রোগ নিরাময় ক্ষমতা। আমাদের চুল ত্বক থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতার সবেতেই অত্যন্ত উপকারী জাফরান। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক জাফরানের উপকারি দিকগুলো কি কি;
* চুল পড়া সমস্যা থাকলে কেশর হতে পারে আপনার উপকারী বন্ধু। অ্যালোপেশিয়ান জাফরান মাথায় বেটে মাখলে চুল পড়া কমবে, নতুন চুলও গজাবে।
* কেশরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ যথেষ্ট, তাই নিয়মিত জাফরান খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, স্বাস্থ্যে চমক আসবে।
* জাফরানে রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার জাদুকরি ক্ষমতা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটে জাফরান মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
* উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান?? বিভিন্ন কোম্পানির নামি দামি ক্রিম ভুলে যান, কাঁচা দুধ, হলুদ, চন্দন বাটা এবং সামান্য জাফরান মিশিয়ে মুখে অ্যাপ্লাই করুন রোজ ,তফাতটা নিজেই টের পাবেন।
* কোষের কার্যকরী ক্ষমতা ও জীবন বাড়ায় জাফরান।
* মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশন এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে জাফরান। দুধ বা চায়ের সঙ্গে একটু জাফরান মিশিয়ে খেলে এই ধরনের ব্যথা কমে।
* জাফরানের মধ্যে আছে জিয়া-জেনথিন লাইকোপিন-এর মত বায়োকেমিক্যাল উপাদান যা মানব শরীরে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
* মানসিক চাপ কমাতে ও হতাশা দূর করতে কেশরের জুড়ি মেলা ভার।
* নার্ভের সমস্যা তে জাফরান বেশ উপকারী। *জাফরানে আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার,ম্যাঙ্গানিজ,আয়রন ,ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ,সেলেনিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।