বেশ কিছুদিন পর দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নেমেছিল ৫০ হাজারের নিচে। করোনার তৃতীয় ঢেউ, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানির মধ্যেও যা সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল সংক্রমণ। তবে নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস।
গত দিনের চেয়ে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার বাড়লো। আবারও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার অতিক্রম করেছে। বেড়েছে মৃত্যুও। তবে, আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার পরিসংখ্যান। রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০ জন। যা আগের দিনের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। দৈনিক করোনামুক্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৪৪ জন। দেশেকমছে সক্রিয় রোগীর হার। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩ জন। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ২৫৮ জন।
এখনও পর্যন্ত ভারতে টিকা পেয়েছেন সাড়ে ৩২ কোটি ১৭ লক্ষের বেশি মানুষ। শনিবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০৯টি।
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হল ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩ জন। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণে গতি বাড়ানো হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে ১৮ বছরের কম বয়সিদেরও যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, তার জন্য জোরকদমে ট্রায়াল চলছে। যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিকাকরণের গতি বাড়াতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এই কাজে যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। টিকাকরণের গতি বাড়ানোর জন্য রাজ্যগুলোকেও অনুরোধ করেছেন মোদী, কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারীকদের রাজ্যগুলোকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।