সোমবারে ফের সংবাদ শিরোনামে জম্মু-কাশ্মীর। জম্মু বিমানবন্দরের এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন ‘হামলা’র পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বড়সড় বিপত্তি। পুলওয়ামায় এবার এক স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে অফিসার ও তাঁর স্ত্রী’কে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা। ওই আধিকারিকের বাড়িতে ঢুকে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। তাতেই প্রাণহানি হয় তিনজনের।
কাশ্মীর জোনের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ফৈয়জ আহমেদ নামে ওই পুলিশ আধিকারিক পুলওয়ামায় (Pulwama) কর্মরত। স্ত্রী রাজা বেগম এবং ২৩ বছর বয়সি মেয়ে রাফিয়াকে নিয়েই সংসার ছিল তাঁর। রবিবার রাতে অবন্তীপোরার হরিপারিগ্রামের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জঙ্গিরা এই হামলা চালায়। আচমকাই জঙ্গিরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগে চলতে শুরু করে এলোপাথাড়ি গুলি। হামলার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পুলিশ আধিকারিক। তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে রাতেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রীকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন পুলিশ আধিকারিকের মেয়ে। সোমবার সকালে শেষ হয় তাঁর জীবনযুদ্ধ। চলছে জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি। কোনও জঙ্গি (Terrorist) সংগঠন এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি
এর আগে শনিবার মধ্যরাতে অর্থাৎ রবিবার ১ টা বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে জম্মুতে জম্মু বিমানবন্দরের এয়ারফোর্স স্টেশনে। ড্রোন ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এই প্রথমবার, ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হল ড্রোন (Drone Strike)। এতদিন সীমান্ত পার করে অস্ত্র পাচারে ব্যবহার হত এই যন্ত্র। এবার সরাসরি বিস্ফোরক ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটাতেও ব্যবহৃত হল এই ছোট্ট যন্ত্রটি। গোটা ঘটনারর তদন্তভার নিয়েছে NIA। । ঘটনায় ২ সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা ঘটনায় জখম হয়েছেন ২ জন। যদিও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা।