বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব কড়া নাড়ছে দরজায়। এবারও দুর্গোৎসব হচ্ছে করোনা আবহে। ফলে নানা বিষয় মাথায় রেখেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফেস্টিভিটির মধ্যেই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেদিকেই চোখ এই সংগঠনের।
গুনে গুনে ক্যালেন্ডারে বাকি আর মাত্র ৪৭ দিন। বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে প্রস্তুতির সলতে পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফেও কমিটিগুলোকে ইতিমধ্যেই বেশকিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে পুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত মানুষদের টিকাকরণের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
পুজো সংগঠকদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যথাসম্ভব খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে। যাতে বাইরে থেকে ঠাকুর দেখা যায়।
মুখে মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজার নিয়েই করোনাকে কড়া ট্যাকেল করতে হবে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব চাইছে রাতের বদলে দিনেই ফাঁকায় ফাঁকায় প্রতিমা দর্শন সেরে নিক দর্শনার্থীরা। সেভাবেই হয়েছে গাইডলাইন।
মা দুর্গার মুখে মাস্ক! এমন ছবি বা ক্রিয়েটিভে অনেকেই চমকেছেন। কিন্তু আয়োজক রা বারবার এই বার্তাই দিয়েছেন যে, করোনা রক্তচক্ষুর মাঝেই কিন্তু পুজো। ফলে বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে।
প্যান্ডেলের প্রবেশপথ ব্যারিকেড দিয়ে যথাসম্ভব দীর্ঘ করতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।দর্শকদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
গতবছর থেকেই পুজোর আনন্দ ভার্চুয়ালি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বহু আয়োজক। সন্ধিপুজো থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি, সবটাই অনলাইনে দেখানোর চেষ্টায় রয়েছে বহু পুজো কমিটি। গোটা বিশ্ব জুড়ে বাঙালির কাছে পুজোর সুবাস ছড়িয়ে দেওয়ার এটাই সেরা রাস্তা।
ঠাকুরের ভোগে কাটা ফল দেওয়া যাবে না।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ না নেওয়া থাকলে মণ্ডপে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। এমনকী এও বলা হয়েছে যে, পুজো কমিটির সদস্যদের করোনা টিকার জোড়া ডোজ আবশ্যক।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যথাসম্ভব কম লোক নিয়ে যেতে হবে।