জেনে নিন রোগ প্রতিরোধে ডিমের কার্যকরীতা
কলকাতা মিডিয়া ওয়েবডেস্কঃ কি ডিম খেতে খুব ভালোবাসেন। ভাজা, সেদ্ধ, পোচ, অমলেট হলেই হল। তবে রোজ ডিম খাওয়া কি শরীরের জন্য ভালো। প্রতিদিন ডিম খেলে কতটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে আসুন দেখে নেওয়া যাক।
ডিম কেন উপকারী
ডিম খেলে কি কি উপকার হয় তা তো জানবেনই।কিন্তু কেন ডিম উপকারী আগে তো সেটা জানতে হবে।ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ডিমকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ বানিয়েছে।একটা ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি মতো।আবার কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো,প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম,ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম।এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম,জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।এইসবই আসলে ডিমের এত পুষ্টিগুণ বাড়িয়েছে।
১. এনার্জির জন্য
কাজ করার জন্য তো আমাদের এনার্জির দরকার হয়ই।ডিম খেলে আমরা সহজেই এই এনার্জি পেতে পারি।ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত আমরা এই এনার্জি বা শক্তি পেয়ে থাকি।ডিমে থাকা ভিটামিন বি আমাদের খাওয়া খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে।তাই প্রতিদিন সকালে ডিমসেদ্ধ খেলে আপনি সারাদিন এনার্জেটিক থাকবেন।
২. চোখের সমস্যা সমাধানে
ডিমে থাকে ভিটামিন এ,যা আমাদের চোখের জন্য বেশ ভালো।আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে ভিটামিন এ।তাছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা,ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।ছানিও কম হওয়ার দিকে থাকে।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধে
ক্যানসার তো এখন প্রায় মহামারী হয়ে গেছে।ঘরে ঘরেই প্রায় এই রোগ।আর এই রোগের চিকিৎসাও এত ব্যয়বহুল যে তা অনেকের সাধ্যের বাইরে।তাই খুব ভালো হয় না যদি ডিম খেয়েই আমরা এই সম্ভাবনা কমাতে পারি!ডিমে থাকা ভিটামিন ই আমাদের কোষে আর ত্বকে থাকা ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়।তাই ক্যানসার কম হয়।এছাড়াও নতুন কোষ তৈরি হতেও সাহায্য করে থাকে।অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে নিয়মিত ডিম খেলে,যেমন সপ্তাহে ৬টি করে,তাহলে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৪. পেশীর ব্যথা কমাতে
আজকাল শুধু বয়স হলেই নয়,কম বয়সেই অনেকের পেশীতে ব্যথা হতে থাকে।পেশীর জন্য খুব উপকারী ভিটামিন ডি,যা খুব বেশী পরিমাণে ডিমে পাই আমরা।তাই ডিম খেলে আমাদের পেশী মজবুত হয়।নিয়মিত ব্যায়াম করলে তাই ডিম খেতে বলা হয়।