কলকাতা মিডিয়া ওয়েব ডেস্কঃ
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েছিল গঙ্গার । সে জন্য ফরাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি লকগেট খুলে দেওয়া হল ।ফলে প্রবল জলোচ্ছাসে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গঙ্গাপারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ।সমস্ত লকগেট খোলার কারণে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে । হু হু করে জল ঢুকে পড়েছে গঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামগুলোতে ।
সে কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে ।সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের ।সেখানে সায়দাপুর অঞ্চলের বয়রা ৭৮ নম্বর বিএসএফ ক্যাম্প জলের তলায় চলে গিয়েছে ।সেখান থেকে বিএসএফ জওয়ানদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে ।ক্যাম্প ছেড়ে স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন বিএসএফ কর্মীরা ।খারাপ অবস্থা হয়েছে ফিরোজপুর , রানিনগর , জলঙ্গি সহ একাধিক এলাকায় ।
ফরাক্কার গঙ্গা তীরবর্তী বেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর ,কুলদিয়ার , বেনিয়া গ্রামে জল ঢুকেছে ।পদ্মার জলস্ফীতি বাড়ায় সকাল থেকে বড়শিমূল , চাদপাড়া , বয়রা , মিঠিপুর , নসিপুর , ডিহিপাড়া গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে ।জলঙ্গির পদ্মার জলস্ফীতির ফলে সীতানগর ,খাসমহল ,চর কাকমারি সহ একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয় ।
ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার , এ আজাদ স্বামী বলেন , উচ্চ প্রবাহে টানা বৃষ্টিতে জলস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল ।সেই কারণেই ১০৯ টি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে ।প্রায় ১৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাক্কার ম্যানেজার ।