বাঙালীর হেঁশেলে তো বটেই, শুধু বাঙালীই বা কেন, গোটা ভারত, বা বলা ভালো প্রায় গোটা এশিয়ার রান্নাতেই হলুদ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী উপাদান।
অতি প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ আয়ুর্বেদ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে হলুদ সবচেয়ে কার্যকর। প্রাকৃতিক উপাদান বা ত্বকের জন্য প্রসাধনী হিসেবে উপকারী হলুদ।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায় হলুদ। গবেষণায় দাবি করা হয়, হলুদ খেলে মস্তিষ্কে ব্রেইন ডেরাইভড নিউরোটফিক ফ্যাক্টেরের (brain-derived neurotrophic factor BDNF) মাত্রা বাড়ে। এটি মস্তিষ্কের নতুন যোগাযোগ এবং মস্তিষ্কের কোষের বিকাশে সহায়তা করে। মস্তিষ্কে এর পরিমাণ কম মাত্রায় থাকলে আলযহাইমার্স রোগসহ বিভিন্ন ধরনের মস্তিষ্কের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান থাকায় তা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়। আমরা রোজ যে খাবার খাই, তার মধ্যে অনেকসময়ই নানা জীবাণু থেকে যেতে পারে। খাবারে কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করলে তা খাদ্যনালীকে ক্ষতিকারক জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচায় ও খাদ্যনালীর প্রদাহের সম্ভাবনা কমায়।
হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি উপাদান ডার্ক সার্কেল ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ত্বকের স্বাভাবিক আভাকে তুলে ধরাই হলো হলুদের প্রধান কাজ।