ফের একবার নাটকীয় পট পরিবর্তন। দীর্ঘ ১১ মাসের প্রতীক্ষার অবসান। ইস্টবেঙ্গল খেলবে আইএসএল (ISL)।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে চুক্তি-জট কাটল ইস্টবেঙ্গলের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকা নবান্নের বৈঠকে জানিয়ে দিল বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট (Shree Cement)। সেই ইস্টবেঙ্গলের কঠিন ম্যাচে ফের মুখ্যমন্ত্রীই ত্রাতা। বুধবার মমতার হস্তক্ষেপেই শ্রীসিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গলের দীর্ঘ চুক্তি জটিলতা কেটে গেল। কোটি-কোটি লাল-হলুদ সমর্থক আজ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ফের লেসলি ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে খুশির হাওয়া।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের শুরুতে বলেন, “আমি শ্রী সিমেন্টের কাছে অনুরোধ করেছিলাম গত পরশুদিন আবার। ইস্টবেঙ্গলের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে সারা পৃথিবী জুড়ে। খেলাটা বন্ধ হয়ে গেলে সবাই খুব দুঃখ পাবে।আপনারা জানেন যে, মোহনবাগান আইএসএল খেলছে। শ্রী সিমেন্টের উদ্যোগে ইস্টবেঙ্গল আগেরবার আইএসএল খেলেছে। এবছর ওদের একটা আনসার্টেন্টি (অনিশ্চয়তা) ছিল এখনও পর্যন্ত। আদৌ খেলতে পারবে কি না!” এরপরেই শ্রী সিমেন্টের এক কর্তা বলেন, “আমরাও চাই এখানে খেলা হোক। কিছু একটা সমস্যার ছিল যার জন্য টার্মশিটের পর চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করতে পারিনি। কিন্তু শেষ এক বছর ধরে চেষ্টা করেছি। যাই হোক! আপনি যখন অনুরোধ করেছেন, আমরা ঠিক করেছি যে, এই বছর আমরা আইএসএল খেলব।”
পূর্ব নির্ধারিত সময় মেনেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন লগ্নিকারী সংস্থা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা। সেখানেই চুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় জট নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নবান্নের সভাঘরে এসে জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গল এবং শ্রী সিমেন্টের যে সমস্যা চলছিল তা আপাতত মিটে গিয়েছে। যে সমস্যাগুলি রয়েছে সেগুলি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে। অর্থাৎ আপাতত লাল-হলুদের ইনভেস্টর হিসেবেই থাকছে হরিমোহন বাঙুরের সংস্থা। ফলে আগামী আইএসএলে খেলছে ইস্টবেঙ্গল।