করোনা (Coronavirus) মোকাবিলায় রাজ্যে জারি একাধিক বিধিনিষেধ। তবে জুলাইয়ের শুরুতেই সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধের আবহেই প্রায় দেড় মাস পর আজ থেকে চালু হল বাস পরিষেবা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে সমস্ত বাস। কিন্তু, মাসের প্রথম দিন সকাল থেকেই যাত্রী দুর্ভোগের ছবি সামনে এল। রাস্তায় বাসের দেখা নেই। পথে নামেনি অনেক বেসরকারি বাসই। সরকারি বাসও হাতে গোনা। যার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। উল্লেখ্য, ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে অনড় বেসরকারি বাস কর্তৃপক্ষ।দাবিপূরণ না হওয়ায় রাস্তায় বাস নামাতে নারাজ। তাই বিধিনিষেধ শিথিল হলেও রাস্তায় নামেনি অনেক বাস।বাস পেতে রীতিমতো দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা।
গত ১৫ জুন থেকেই ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে শুরু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কাজ। সেই সময় যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কর্মীদের যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে। তবে বহু ক্ষেত্রে কর্মীদের অভিযোগ, যাতায়াতের ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তাই বাধ্য হয়ে বহু গুণ বেশি টাকা খরচ করে অ্যাপ ক্যাবে করেই অফিস পৌঁছতে হয়েছে। কর্মহারাও হয়েছেন অনেকেই।
১ জুলাই থেকে রাস্তায় বাস চলার ঘোষণায় তাই যথেষ্ট খুশি হয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। তবে বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেরিয়ে কার্যত বিপরীত ছবি নজরে এল তাঁদের। সকাল থেকেই শ্যামবাজার, ধর্মতলা, মৌলালিতে বেসরকারি বাস অমিল থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় অফিস যাত্রীদের।বারুইপুর বাস টার্মিনালে সকালে বাস না থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বাস টার্মিনালের স্টাফ রুম ও স্টাটার রুমে লাগানো তালা।কারণ, হু হু করে পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আগের ভাড়ায় যে বাস চালানো সম্ভব নয় তা আগে বাসমালিক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছিল। সরকারি বাস ডিপোতে বাস না মেলায় উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে বারুইপুর ২১৮ বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারি নির্দেশ মেনে সকালেই শুরু হয়েছে বেসরকারি বাস পরিষেবা। কিন্তু, যাত্রীদের দেখা নেই। মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে এসেছে বাস। আগামী দিনে যাত্রীভাড়া না বাড়লে বাস পরিষেবা বন্ধের হুমকি কর্মচারীদের।
এদিকে, বুধবারই ফিরহাদ হাকিম জানান যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে রাস্তায় নামানো হবে সমস্ত সরকারি বাস। বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলিকেও রাস্তায় বাস নামানোর আরজি জানান তিনি। যদিও সেই আরজিতে কোনও কাজ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাসমালিক সংগঠনগুলির বৈঠকে বসার কথা। ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেদিকেই নজর সকলের।