33 C
Kolkata
33 C
Kolkata
বৃহস্পতিবার, মার্চ 30, 2023

জেনে নিন কেদারনাথের অজানা কথা

শীতকালের ছয় মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৭ মে খুলে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। পঞ্চকেদার ও দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম এই মন্দিরের বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। জেনে নিন এই মন্দিরের কয়েকটি অজানা তথ্য।

  • এখানে পাঁচটি নদী মিলিত হয়েছে।
  • এই পাঁচ নদী হল মন্দাকিনী, মধুগঙ্গা, ক্ষীরগঙ্গা, সরস্বতী এবং স্বর্ণগৌরী।
  • সব নদীগুলির অবশ্য এখন আর অস্তিত্ব নেই।
  • তবে অলকানন্দার শাখা নদী মন্দকিনী এখনও বয়ে চলেছে।

কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী। এই চারটি ধাম একত্রে ছোট চারধাম নামে পরিচিত। আর বড় চারধামের মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ, গুজরাতের দ্বারকা, পুরীর জগ্ননাথ মন্দির এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম ধাম।

চার ধাম ছাড়াও দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ ও পঞ্চ কেদারের অন্যতম এই কেদারনাথ মন্দির। শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই মন্দিরের দরজা ভক্তদের দর্শনের জন্য খোলা থাকে। প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে স্বয়ং মহাদেব এখানে তাঁর ভক্তদের দর্শন দেন। এই মন্দিরের নির্মাণ করেন আদি শংকরাচার্য। এই মন্দির তিনদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। একদিকে ২২ হাজার ফুট উঁচু কেদারনাথ পাহাড়, আর একদিকে ২১ হাজার ৬০০ ফুট উঁচু স্পেন্ডকুণ্ড এবং অন্যদিকে ২২ হাজার ৭০০ ফুট উঁচু ভারত কুণ্ড। এখানে পাঁচটি নদী মিলিত হয়েছে। এই পাঁচ নদী হল মন্দাকিনী, মধুগঙ্গা, ক্ষীরগঙ্গা, সরস্বতী এবং স্বর্ণগৌরী। সব নদীগুলির অবশ্য এখন আর অস্তিত্ব নেই। তবে অলকানন্দার শাখা নদী মন্দকিনী এখনও বয়ে চলেছে। শীতে কেদারভূমে যেমন প্রচণ্ড ঠান্ডা, তেমনই বর্ষায় অঝোরে বৃষ্টি পড়ে। সমুদ্রতল থেকে ৩৫৮৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত কেদারনাথ। ছয় ফুট উঁচু প্ল্যাটফর্মের ওপর মন্দিরটি নির্মিত। মন্দিরের বাইরে রয়েছে শিবের বাহন নন্দীর মূর্তি। কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছতে গৌরীকুণ্ড থেকে শেষ ১৭ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এই পথে কোনও গাড়ি চলে না। তবে অনেকে কুলি বা ঘোড়ার পিঠে চড়ে মন্দিরে পৌঁছন।

- Advertisement -spot_img

Latest news

- Advertisement -spot_img

Related news

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.