আনুমানিক ১৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মোঘল সম্রাট আকবরের আদেশে রাজস্থান থেকে সর্বেশ্বর সিংচৌহান বাংলা জয় করতে আসেন, মাল শাসকেরা যে গভীর অরণ্যে বাস করতেন এবং শাসনকার্য পরিচালনা করতেন তা “ঝারিখণ্ড” নামে পরিচিত ছিল , রাজা সর্বেশ্বর সৈন্যবাহিনী ও অশ্বারোহী বাহিনী দ্বারা সেই অঞ্চলে বহিরাক্রমণ করেন এবং যুদ্ধে রাজা সর্বেশ্বর মাল রাজাকে পরাজিত করে মল্লদেব উপাধি ধারন করেন, রাজা সর্বেশ্বর সিংচৌহান এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, তিনি একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন , যার রাজধানী ঝাড়গ্রাম, প্রায় ৪০০ বছর ধরে ১৮ জন রাজা এই রাজত্তে রাজকার্য পরিচালনা করেছেন ,
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে বিস্তৃত তৃণাবৃত জমি ও বাগান সহযোগে ঝাড়গ্রাম রাজ প্রাসাদ ইউরোপীয় ও মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের সংমিশ্রণে নির্মিত হয়, বর্তমান রাজ পরিবারের সদস্যগণ প্রাসাদে বসবাস করেন, এবং প্রাসাদের নিম্নতল হেরিটেজ এ পরিবর্তিত হয়েছে, যা ওয়েস্ট বেঙ্গল টু্ৃ্ৃ্্যরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও বর্তমান রাজ পরিবারের যৌথ পরিচালনায় পরিচালিত হয়, এই পরিসরের মধ্যেই কুলদেবতা রাধারমন মন্দির ও শিব মন্দির অধিষ্ঠিত, নতুন রাজপ্রসাদ ও গেস্ট হাউসের পিছনে প্রায় ৩৫০ বছরের পুরাতন রাজ প্রাসাদ এ অবস্থিত, যা রাজবাড়ির অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় নিদর্শন l