কলকাতা মিডিয়া ওয়েব ডেস্কঃ
কাশ্মীর সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে জানিয়েছে তালিবান ।আফগানিস্তানের মসনদ দখলের পরে ওই মৌলবাদী সংগঠনের দাবি , কাশ্মীরে তাদের কোন নজর নেই ।কিন্তু আজ সেই কাশ্মীরে ই তালিবানদের সাহায্য চাইল পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজাবুল মুজাহিদিনের নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিন ।পাশাপাশি আর এক মৌলবাদী মুসলিম জঙ্গি সংগঠন আইএসের দাবি , আমেরিকার ষড়যন্ত্রের ফলেই আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে তালিবান ।আজ তালিবানের জয়ের আনন্দ প্রকাশ করে একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছে সালাউদ্দিন । তাতে বলা হয়েছে , “ঈশ্বরের কাছে তিনি যেন আফগানিস্তানের ইসলামি আমিরশাহি কে আরও শক্তিশালী করেন । তাহলে তারা কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারবে ।“ কাবুলে তালিবান নেতারা যাই বলুন , পাকমদতে পুষ্ট এই জঙ্গি নেতার বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ রা ।
অন্যদিকে তালিবানের নেতা কাবুল দখলের দায় সরাসরি আমেরিকার ঘাড়ে চাপিয়েছে আর এক মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন আইএস । মুখপত্রে তাদের দাবি , আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে আফগানিস্তান কে তালিবানদের হাতে তুলে দিয়েছে ।আইএসের বক্তব্য, কাবুলে তালিবানের প্রবেশের সময় আমেরিকান সেনা ও তালিবানদের মধ্যে কীভাবে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে ।আইএসের দাবি , তালিবান ভুয়ো জেহাদি । তারা প্রকৃত জেহাদের পথে হাঁটেনি । আফগানিস্তানে প্রকৃত শরিয়তি আইন কার্যকর করার ক্ষমতা ও তাদের আছে কিনা সন্দেহ । আইএসের দাবি তালিবান আমেরিকার মোল্লা ব্র্যাডলি প্রকল্পের অঙ্গ ।মৌলবাদী দের মতে , ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন , আইএস ও তালিবানদের মধ্যে বিরোধ কিছু নতুন নয় । বিশেষতঃ ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরী হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে ।দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দুপক্ষের নানা গোষ্ঠীর ।কূটনীতিকদের মতে , আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানদের সমর্থন করতে শুরু করে রাশিয়া ।পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকার অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায় ।ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়েও আইএস ও পাকমদতে পুষ্ট এবং তালিবান ঘনিষ্ঠ সংগঠন গুলির মধ্যে বিরোধ আছে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা ।কাশ্মীরের আইএসের সেল আসলে ভারত সরকারের তৈরী সংগঠন বলে ভলে অনেকবার দাবি করেছে পাকমদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা ।