আম কিন্তু বেশ মজার একটা ফল। আম খেতে ভালবাসে না এমন মানুষ খুব কম সংখ্যক আছেন। যেমন রূপ তেমন স্বাদ আর ঠিক তেমনই গুণ, সে কাঁচা আম হোক বা পাকা আম।
গরমে হাঁসফাঁস!! ১ গ্লাস ঠান্ডা আম পোড়ার সরবত! আহা শরীর মন সব একেবারে যেন জুড়িয়ে যায়। আপনার বাড়ির ক্ষুদেটির হয়তো আমের প্রতি এ অনীহা থাকতে পারে-চিন্তার কি আছে… বানিয়ে দিন দুধ, পাকা আম, টক দই আর অল্প চিনি দিয়ে ‘Mango Smoothie’ দেখবেন মিনিটের মধ্যে গ্লাস ফাঁকা!
আম স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ঠ উপকারী, আমে আছে বিশেষ কিছু উপাদান যেমন – ভিটামিন এ, সি, ই, বেটা ক্যারোটিন, ট্যারটারিক এসিড
ম্যলিক এসিড, আয়রন, প্রোটিন সহ আরও অনেক কিছু।
গুনাগুন কাঁচা এবং পাকা দুই আমেই আছে-
প্রথমে জেনে নিন কাঁচা আমের গুনাবলী :
১. শরীরের বাড়তি ক্যলরি বার্ন করে কাঁচা আম।
২. অম্বল এর সমস্যা? কাঁচা আম এক টুকরো ফেলে দিন মুখে… অম্বল উধাও।
৩. কাঁচা আম খেলে ডায়াবিটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. কাঁচা আমে পটাসিয়াম থাকে যার ফলে শরীরে ঘাম কম করে।
৫. কাঁচা আমে আইরন থাকে তাতে রক্ত স্বল্পতা দূর হয়।
৬. কাঁচা আম সান্সট্রক হওয়া রোধ করতে সক্ষম।
৭. ঘামাচি হওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
৮. অনেক গর্ভবতী নারীর মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থাকে কাঁচা আম অনেকটা সুফল দেয়।
এবার পালা পাকা আমের গুণাবলীর:
১. স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করতে পাকা আমের গুরুত্ব অপরিসীম।
২. দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে
৩. গর্ভে থাকা শিশুর জন্য বেশ উপকারী পাকা আম।
৪. আমে আঁশ থাকার জন্য হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
৫. কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যাতে আম ভীষণ উপকারী।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম পাকা আম।
৭. শরীরে mineral এর ঘাটতি মেটায়।
৮. ত্বকের অকাল বার্ধক্য মেটাতে আম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এইসবের মধ্যে কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে-
আমে অনেকের এলারজি সৃষ্টি করে, তাদের আম খাওয়া উচিত নয়। যেহেতু আমে প্রচুর সুগার থাকে ডায়াবিটিস পেশেন্ট দের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়া উচিত।