চার দেওয়ালে আটক থাকতে গিয়ে শরীরের গতিবিধি কমেছে। এই সময় অনেকেই কাঁধের ব্যথায় ভুগছেন, ঠায় চেয়ারে বসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে টেবিলে বসে কম জায়গার মধ্যে মাউস নাড়াচাড়া করতে গিয়ে কাঁধের পেশির নমনীয়তা নষ্ট হচ্ছে। যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য মোবাইলের ব্যবহার ভীষন বেড়েছে আর তারও ভার বইছে কাঁধ। কাঁধের পেশি আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছে, লাগাতার যন্ত্রণা হচ্ছে অনেকেরই, এই রোগের উপসর্গ ধীরে ধীরে শুরু হয়। প্রথমে হাত নাড়াতে সমস্যা, কাঁধের জয়েন্টে অল্প ব্যথা থাকে, কয়েক মাস পর থেকে ব্যথা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। এই ব্যথা কমাতে গেলে কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ ও ব্যায়াম বেশ কার্যকরী।
মূলত রোগের লক্ষণ শুনেই চিকিৎসক রোগটি সম্বন্ধে ধারণা করে নেন। অনেক ক্ষেত্রে অন্য রোগ হয়েছে কিনা জানতে এক্স-রে এম-আর-আই বিভিন্ন টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে রোগী ভেদে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আলাদা হয়ে থাকে, যেমন-
* ডানদিকের কাদের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হলে বা রাতে ব্যথা বাড়লে স্যাঙ্গুনেরিয়া ক্যানেডেনসিস ব্যবহার করা হয়।
* কাঁধ থেকে ব্যথা হাতের নিচের দিকে কনুই পর্যন্ত চলে আসছে গরম সেক এ ব্যথা কমে এমন উপসর্গে ফেরাম মেটালিকাম বেশ কার্যকর।
* শুয়ে বসে থাকলে ব্যথা বাড়ছে, মাসাজ করলে ব্যথা কমছে এই অবস্থায় রাসটক্স ক্যাপসুল স্বাস্থ্য ফেরাতে সাহায্য করে।এছাড়া ব্রায়োনিয়া, আর্নিকা, রডোডেনড্রন, ফাইটোলক্কা, থুজা ইত্যাদি ওষুধেও ভালো কাজ দেয়।
শুধুমাত্র ওষুধেই এই রোগ সারান নয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন,
* শোল্ডারকে রিল্যাক্স করুন। কয়েকবার সামনের দিকে কয়েকবার পিছনের দিকে ঘুরিয়ে আনা-নেওয়া করুন 15 থেকে 30 সেকেন্ড।
* শোল্ডারের পিছনের দিকে অংশে স্ট্রেস দিন,আপনার ডান হাত দিয়ে বাম সোল্ডার ধরুন বা স্পর্শ করুন এবার বাম হাত দিয়ে কনুইয়ের পেছন থেকে চাপ দিন ও ধরে থাকুন 10 থেকে 15 সেকেন্ড অপর হাতের বিষয়টি করুন একই ভাবে পুরো পদ্ধতিটি তিন থেকে পাঁচ বার করুন।
* কলার বোনের উচ্চতায় বারবেল বা জলের বোতল ধরুন। কোমর সোজা রেখে হাটু ভেঙে আধ বসা হন। ওই অবস্থায় হাঁটুর বাইরের দিকে ও কাঁধের বাইরের দিকে জোর প্রয়োগ করুন।
এই ব্যায়াম গুলো নিয়মিত করলে আপনি আরাম পেতে পারেন। তবে বিশেষ অসুবিধা হলো ব্যায়াম বন্ধ করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।