লক ডাউন শেষ হলেই ঘুরতে যাবেন ভাবছেন নিশ্চয়ই! হ্যাঁ সেটাই তো স্বাভাবিক ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে বলুন
প্যন্ডেমিকপরিস্থিতি গৃহ বন্দি করেছে – বাড়ির কাজ বা অফিসের সমস্ত কাজ ঘরে বসে করতে হচ্ছে বন্ধুদের সাথে ইচ্ছে হলেও দেখা করতে বা ঘুরতে যেতে পারছেন না। ভিডিও কল বা কনফারেন্স কল ভরসা, অফিসের মিটিং টুকুও হয়ে যাচ্ছে zoom এ। ব্যস, আর কি.. এতো যাকে বলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত অবস্থা। যাই হয়ে যাক না কেন বাইরে যাওয়া মানা। কিন্তু ভ্রমণ প্রিয় বাঙালি কি এমন টা মেনে নেবে?
নাহ! ‘এ মন মানে না কোনো বারণ’। প্যন্ডেমিকএর পর প্ল্যান করুন এই 4 টে জায়গায় ঘুরে আসার। প্রাণ ভরে শ্বাস নিন আর সৌন্দর্য উপভোগ করে আসুন।
হলদিয়া
শহরটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত। শহরটির আরো একটা নাম আছে সেটা হল বন্দর নগরী। কারণ এখানে প্রচুর নৌ বন্দর রয়েছে। কলকাতা থেকে প্রায় ১১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হুগলি নদীর মোহনার কাছে হুগলি এবং হলদি নদীর মিলনস্থলে শহর টি গড়ে উঠেছে। কংসাবতি আর কেলেঘাই নদীর যুগ্ম প্রবাহের নাম হলদি নদী। এই নদীর অপরূপ সৌন্দর্য আর পুরোনো বন্দর এর গন্ধ আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবে।
চন্দননগর
কলকাতা থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে হল চন্দননগর। গাড়ি চালালেই পৌঁছে যাবেন এই ঐতিহাসিক জায়গায়। ঐতিহাসিক জায়গা কেন?
একসময় চন্দননগর ছিল ফরাসি শাসিত। ফরাসি আমলে এই জায়গার অনেক উন্নতি হয়।ওখানে গেলে দেখতে পাবেন রাস্তা ঘাট ও নিকাশি ব্যবস্থা সবেতেই রয়েছে ফরাসি দক্ষতার পরিচয়। আর একটা জিনিস অবশ্যই চেখে দেখবেন সেটা হল জল ভরা সন্দেশ, এছাড়া ক্ষীরপুলি, মতিচূড় তো আছেই।
বাঁকিপুট
যে কোন দিঘাগামী বাসে উঠে পড়ুন, কাঁথিতে নামুন। কাঁথি থেকে জুনপুটের পথে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে বাঁকিপুট। দিঘা, মন্দারমণির মতো অতটা পরিচিত নয় জায়গাটি।
শহরের কোলাহল পেরিয়ে নির্জন পরিবেশ আপনার মন এবং স্বাস্থ্যকে ফুরফুরে করে দেবে। ঝাউবন আর বঙ্গোপসাগরের তরঙ্গ আপনার মনকে একেবারে ভালো করে দেবে। এখানে গেলে প্রাচীন লাইট হাউস আর সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর কপাল কুন্ডলা তে বর্ণিত কাপালিকের মন্দির অবশ্যই ঘুরে আসবেন।
পাবং
ফ্লাইটে গেলে বাগডোগরা আর ট্রেনে গেলে নিউ জলপাইগুড়ি গাড়ি রিজার্ভ করে পাবং। কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে একটি ছোট্ট গ্রাম। পাহাড় প্রেমিরা অনায়াসে ঘুরে ২ দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। সারাদিন কোনো কাজ নেই নির্ভেজাল নিশ্চিন্তে কাটান ২ টো দিন। তার সঙ্গে দেখুন দূষণ মুক্ত আকাশে সানরাইস আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ রূপ, আর তাছাড়াও রয়েছে এখানে বিভিন্ন রকম পাখির আনাগোনা যেমন টিট, মিনিভেট, ওরিয়েন্টাল হোয়াইট আই প্রভৃতি।এদের কলকাকলীতে ভরে থাকে চরাচর। আর অপেক্ষা কেন চট করে প্ল্যান করে ফেলুন বন্ধু বা পরিবারের সাথে পাহাড়ের এই ছোট্ট গ্রামটিতে।