দূর্গা পুজোর পরের অমাবস্যা তিথিতে কালী পুজো হয়। অনেক কাল আগে থেকেই এমনটা হয়ে আসছে । মায়ের পায়ের নীচে শায়িত দেবাদিদেব মহাদেব আর জিভ বের করে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এই রূপেই সর্বত্র পুজিত হয়ে আসছেন মা। কালীর এই রূপ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। শুধু রূপই নয় মা কালীকে নিয়েও রয়েছে নানা কাহিনি।
মনে করা হয় কালের স্ত্রী, তাই তিনি কালী। আর যেহেতু
শিব -কে কাল বলা হয় তাই শিবের স্ত্রী হিসাবে তিনি হয়ে উঠেছেন কালী। শাস্ত্র অনুসারে যে যে কাল সর্বজনকে গ্রাস করে আর যিনি সেই কালকেই গ্রাস করেন তিনি হলেন কালী। উৎপত্তি, স্থিতি, মহাপ্রলয়-এর পছনে রয়েছে এই কাল শক্তি। মহাপ্রলয়ের কালশক্তি মহাকালীর ভিতরেই নিঃশেষ হয়ে লীন হয়ে যায়।
মা কালীর জন্ম নিয়েও আছে এক কাহিনি। মনে করা হয় যখন স্বর্গে অসুরেরা তান্ডব চালাচ্ছে দেবতাদের স্বর্গ রাজ্য দখলের উদ্দেশে। ঠিক তখনই দেবতারা মিলে সৃষ্টি করেন দেবী দুর্গার। আর সেই অসুরদের প্রধান ছিল রক্তবীজ। সে ছিল ব্রহ্মার বর প্রাপ্ত। ব্রহ্মার বর অনুসারে তাঁর এক ফোঁটা রক্ত ভূতলে পতিত হলেই তা থেকে জন্ম নিচ্ছিল একাধিক অসুর। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই মা দুর্গা ভ্রু যুগলের মাঝ খান থেকে জন্ম দেন মা কালীর। সেই কালীর ভয়াবহ রুদ্রমূর্তী আর তাঁর হাতেই একের পর এক অসুর বধ হতে থাকে। অসুরের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ক্ষরণ হলেও তা জিভ বের গ্রাস করতে থাকেন কালী। এই ভাবেই একের পর এক অসুরকে প্রথমে বধ করেন কালী। তার পরে রক্তবীজকে মেরে তাঁর শরীরের সমস্ত রক্ত পান করে নেন কালী। তিনি এমনটা করে ছিলেন যাতে এক ফোঁটা রক্তও নীচে পড়তে না পারে। অসুরের সব রক্ত শুষে নিয়ে তার রক্ত শূন্য দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। আর এই ভাবেই তিনি ধ্বংস করেন অসুরদের।
তবে মা কালী আরও ভিন্ন রুপেও পূজিতা হন। মা এর সেইসব রুপের নিয়েও নানা কাহিনী বর্নিত আছে।