অনেকসময় পণ্ডিত বা জ্যোতিষীদের মুখে একটি কথা শোনা যায়, ‘মাঙ্গলিক দোষ’। এর জন্য অনেক সময় জীবনে বিভিন্ন বাধা তৈরি হয় বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক কী এই মাঙ্গলিক দোষ? জীবনে আদৌ কি কোনও প্রভাব ফেলে এই দোষ? ফেললে তার প্রতিকারই বা কী? রইল সমস্ত উত্তর।
অনেকসময় পণ্ডিত বা জ্যোতিষীদের মুখে একটি কথা শোনা যায়, ‘মাঙ্গলিক দোষ’। এর জন্য অনেক সময় জীবনে বিভিন্ন বাধা তৈরি হয় বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক কী এই মাঙ্গলিক দোষ? জীবনে আদৌ কি কোনও প্রভাব ফেলে এই দোষ? ফেললে তার প্রতিকারই বা কী? রইল সমস্ত উত্তর।
কী এই মাঙ্গলিক দোষ?
জ্যোতিষের ভাষায়, কারোও রাশিফলের চতুর্থ ভাব, সপ্তম ভাব, অষ্টম ভাব ও দ্বাদশ ভাবে মঙ্গলগ্রহের প্রভাব থাকলে সেই ছেলে বা মেয়েটি মাঙ্গলিক দোষ পেয়েছে বলে মনে করা হয়। এই দোষ সাধারণত বিবাহ পরবর্তী জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করে। কিছু মানুষ আবার প্রচলিত ধ্যানধারণাগুলি বলে এই দোষের ছেলে বা মেয়েকে রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেয়।
মাঙ্গলিক দোষ আর প্রচলিত ধারণা
- মাঙ্গলিক ছেলে বা মেয়ের বিবাহ পরবর্তী জীবন সুখের হয় না। তাদের সম্পর্কে অনেক সমস্যা আসে এমনকি ভেঙেও যেতে পারে।
- প্রচলিত আছে, মেয়ে মাঙ্গলিক হলে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বিয়ে করতে হয় প্রথমে। এটা সঠিক নয়।
- শনি ও মঙ্গলের দশা কখনোই নাকি কাটানো যায় না। এই ধারণাও ভ্রান্ত।
- কথিত আছে, ২৭ বছর বয়সের পর আপনি আপনি কেটে যায় এই মঙ্গল দশা। এটাও সঠিক না।

মাঙ্গলিক দশার প্রভাব
- মাঙ্গলিক দশার কিছু প্রভাব আমরা জীবনে অস্বীকার করতে পারি না। আমাদের রাশিফলে প্রভাব ফেলে মাঙ্গলিক দশা।
- প্রকৃতি ও সূর্য রুষ্ট থাকে এই দশায়।
- চতুর্থ ভাবে মঙ্গল থাকলে তার প্রভাব পড়ে স্বাভাবিক জীবনের ওপর। সপ্তম ভাবে মঙ্গল থাকলে বিবাহ পরবর্তী জীবনে সমস্যা আসতে পারে।
- দশম ভাবে মঙ্গল থাকলে বিবাহবিচ্ছেদের মত বড় কোনও ঘটনাও ঘটতে পারে।
কী কী করা যেতে পারে
- নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়লে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে মাঙ্গলিক দোষ থেকে। যদি রোদ সম্ভব না হয় তবে অন্তত প্রতি মঙ্গলবার পড়তে হবে।
- শিবের আরাধনা করতে হবে।
- শিবলিঙ্গে রোজ লাল ফুল অর্পণ করতে হবে।
- নিয়ম করে প্রতি মঙ্গলবার উপবাস রাখলে এবং শুধুমাত্র অড়হর ডাল সেবন করলে আস্তে আস্তে কেটে যায় এই দশা
- প্রত্যের মঙ্গলবার শ্রী রাম ও হনুমানের আরাধনা করা উচিত।
- কুম্ভবিবাহ নামের একটি রীতির মাধ্যমে বিয়ের আগে কাটানো হয় মঙ্গল দশা। এই রীতিতে মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে হয় একটি কলাগাছ বা পিপুল গাছ অথবা ভগবান বিষ্ণুর একটি স্বর্ণ বা রৌপ্য মূর্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।