- নারদ মামলায় (Narada Scam Case) চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর নিয়ে জটিলতা তৈরি হল
- হাইকোর্টে দুই বিচারপতির মধ্যে মতভেদ
- জামিন মঞ্জুরের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি |
. জামিন পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁদের এখন গৃহবন্দী রাখা হবে।
নারদ মামলার (Narada Scam Case) শুনানি ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে নাটকীয় মোড়। জেল হেফাজত থেকে রেহাই পেলেন ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র। আপাতত টার হেভিওয়েটকে গৃহবন্দি থাকতে হবে। এই মামলায় দ্রুত বৃহত্তর বেঞ্চ তৈরি করা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চারজনকে গৃহবন্দি থাকতে হবে। ফিরহাদ হাকিম বাড়ি থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু, বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। অন্যদিকে, বৃহত্তর বেঞ্চে গেল জামিন মামলা। আজ দুপুর ২টোয় শুনানি।
শর্ত সাপেক্ষ জামিন নিয়ে রাজেশ বিন্দাল ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতভেদ। অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই জামিনের নির্দেশ দিলেও রাজেশ বিন্দাল এর পক্ষে নয়। এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সওয়াল চলছে। এর পর আদালত চূড়ান্ত রায় জানাবে। নতুন ডিভিসিন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গৃহবন্দী অবস্থায় থাকতে হবে। বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই চার জনকে গৃহবন্দী থাকতে হবে। এদের চিকিৎসা সম্পর্কিত সব সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি এই চারজনকে সিবিআইকে মামলায় সাহায্য করা হবে। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সময় চেয়ে আবার সওয়াল করবেন। তখন মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানা যাবে।
এই জামিনের মূল কথা হচ্ছে এই চার হেভিওয়েট বাড়িতে পুলিশি প্রহরায় থাকবেন। তবে এই রায় নিয়ে বিচারপতিদের মধ্যে মতের পার্থক্য থাকায় অন্য একজন হাই কোর্টের প্রবীণ বিচারপতির কাছে মামলাটি পাঠানোর প্রথা। তিনি এই মামলার রায় শুনে নবনিযুক্ত বিচারপতি আগের রায় দেখে যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে নারদ মামলার চূড়ান্ত রায়।
আবার শুনানি শুরু হল রাজেশ বিন্দাল ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে বলেছেন, ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভায় যেতে না পারলে কী ভাবে করোনার বিরুদ্ধে কী করে কাজ করবেন? তিনি সই না করলে কাজ হবে কী ভাবে? তা হলে কী বৃহত্তর আদালতেই এই চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর মামলার নিস্পত্তি হবে
নারদ মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি চাইলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে শনি, রবিবার শুনানি চাইলেন তিনি । কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মামলা এক পক্ষ হতে পারে না। তাই এই মামলার শুনানি শনি ও রবিবার করা হোক। মন্ত্রীদের করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে। মামলার গুরুত্ব বুঝে আজই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হোক।
ফিরহাদ হাকিম গৃহবন্দী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরসভার কাজ করতে পারবেন । আদালতের তরফে এই পর্যবেক্ষণ জানা গেছে। অভিযুক্তদের তরফে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এই দাবি জানিয়েছিলেন আদালতে। অন্য মন্ত্রীও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি কাজ করতে পারবেন। তবে প্রশাসনিক কারণে তৃতীয় বিচারপতি বা বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা এখনই যাচ্ছে না। তাই এই চার জন আপাতত গৃহবন্দী থাকবেন। শারীরিক ভাবে বাইরে যেতে পারবেন না। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ফিরহাদ হাকিম করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে কাজ করছেন। তাই তিনি কাজ করতে না পারলে করোনা যুদ্ধে কাজ করতে সমস্যা হবে।
দুপুর দুটোর সময় বৃহত্তর বেঞ্চ বসবে। সেখানে এই নারদ মামলার শুনানি হবে। জানালেন মদন মিত্রর আইনজীবী। তবে এই বৃহত্তর বেঞ্চে কতজন বিচারপতি থাকবেন সেটা জানানো হয়নি। হাই কোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত এই বিষয়টি।
বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি দু’টোর সময়।