কলকাতা মিডিয়া ওয়েবডেস্কঃ সারা বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা নিতে শুরু করেছে। তবে এরই মধ্যে চোখ রাঙাছে ঘুর্ণিঝড়। কেননা ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। তার নামকরণ হয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে টাউকটে।
গত বছর ২০২০ সালে করোনা কালেই আছড়ে পড়ে আমফান। যার ক্ষত আজও টাটকা। আবহ বিজ্ঞানী দের মতে মার্চ-এপ্রিল-মে ঘূর্ণিঝড়ের পক্ষে আদর্শ সময় কেননা এই সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি পার হয়ে যায়। যা ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য সহায়ক। পাশাপাশি বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এই সময়। তবে এপ্রিল-মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় সব থেকে বেশি। তবে আরবসাগরও কম যায় না।
যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে তার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৫০ কিমি আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৯ মার্চ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে বাংলা কিংবা ওড়িশা কিংবা মায়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে ৩-৪ এপ্রিল নাগাদ।
আবহাওয়াবিদদের প্রাথমিক অনুমান ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় প্রায় দেড়শো কিমি। তবে এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি না হয় তবে তার জন্য অপেক্ষা করা হবে। তবে মে-জুনের মধ্যে হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। সেটির নামকরণ হবে টাউকুটে।