কলকাতা মিডিয়া ওয়েবডেস্কঃ আজ ২২ মার্চ, ২০২০ সালের আজকের দিনে করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে দেশের জনসাধারণ পালন করেছিলেন জনতা কার্ফু। বেজেছিল কাঁসর ঘন্টা, এমনকি থালা,বাসন বাজিয়েও কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ছিলেন দেশবাসী। আজ এই ২২ শে মার্চ ২০২১ সালে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে ত্রস্ত দেশ। ফের সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র।
সারাদিন ছিল নিঝুম-নিস্তব্ধ। রাস্তাঘাটও সুনসান। বিকেল ৫টায় ভেঙেছিল সেই নিস্তব্ধতা। শহর জুড়ে বেজে উঠেছিল কাঁসর-শঙ্খ-ঘন্টা থালা, বাসন। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেশবাসী বুঝিয়ে দিয়েছিলো, করোনার মতো মহামারী রুখতে দল-মত দেখবেন না তাঁরা।তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে অনেকে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। এ নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। তারপর ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে লকডাউন হয়ে যায়। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউনের মেয়াদও বেড়ে যায়।
ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে লকডাউনের মেয়াদ। শেষে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আনলক পর্যায়।তার আগে আরও একটি নতুন শব্দ যুক্ত হয় দেশবাসীর অভিধানে। ” পরিযায়ী শ্রমিক “। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার রাতে প্রথম রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়
রাজ্য সরকারের এক আমলার ছেলে লন্ডন থেকে ফেরার পর তার করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে দেশজুড়ে সংক্রমণ। দেশজুড়ে অফিস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় সব। কাজ হারান বহু মানুষ। দেশের অর্থনীতি তলানিতে এসে ঠেকে।
[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]
জানুয়ারি মাসে শুরু হল করোনার টীকাকরণ। কিন্তু কিন্তু মার্চ মাস থেকেই ফের দ্বিতীয় সংক্রমণের ভ্রুকুটি। রবিবারের হিসেবে সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। এরমধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৫৩৫ জন।দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ।ভারতের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর প্রভাব লক্ষণীয় কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে আবার লকডাউন।