অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ইয়াস (Yaas)-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে শুক্রবারই রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর দাবি করেন, “মমতা অসত্য বলছেন।”
‘যশ’ (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক এই মুহূ্র্তে রাজনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয়। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেনু শুক্রবারের বৈঠকে ঠিক কী কী ঘটেছিল। তার ঠিক পরেই পালটা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী , ‘যশ’ বৈঠকে যাঁর উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুভেন্দু স্পষ্ট অভিযোগ করলেন, সংবিধান মানছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আচরণ অতীব দুঃখজনক, লজ্জাজনক। প্রাক্তন দলনেত্রীর প্রতি তাঁর পরামর্শ, ”সংবিধান মেনে চলুন।”
মমতার প্রশ্ন, গুজরাত কিংবা ওড়িশা দুর্যোগ পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে বৈঠকের সময় সেখানকার বিরোধী দলনেতাদের ডাকা হয় না আর বাংলায় কেন বিরোধী গুরুত্ব দেওয়া হয়? এর জবাবে শুভেন্দুর দাবি, ”উনি ঠিকমতো জানেন না। ওড়িশার বৈঠকে সেখানকার বিরোধী দলনেতাকেও ডাকা হয়েছিল। উনি কোভিড পজিটিভ হওয়ায় বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কলাইকুন্ডার বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। ক্ষতির বিষয়টি জানতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকেই ডেকেছিলেন। এতে রাজনীতির কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের আচরণ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চরম অবমাননাকর৷
এদিন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঙালি হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই রাজ্যের আমলারা অসহায় অবস্থায় কাজ করছেন। আপনি যে ভাবে প্রশাসনকে চালাচ্ছেন সেটা ঠিক নয়।ফিস ফ্রাই খাইয়ে বিরোধীদের ম্যানেজ করেছেন এতদিন, এবার আর সেটা হবে না।