একের পর এক মৃত্যু দেশে। করোনা পরবর্তী উপসর্গ প্রাণ কাড়ল আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। প্রয়াত হিমাচল প্রদেশের ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বীরভদ্র সিং (Virbhadra Singh)। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।
প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত সোমবার নতুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপর থেকেই সংকটজনক অবস্থায় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের (IGMC) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভরতি ছিলেন। আসলে ৮৭ বছর বয়সি প্রবীণ নেতা এর আগে দু’বার করোনার কবলে পড়েছিলেন। প্রথমবার তিনি এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েন ১২ এপ্রিল। সুস্থও হয়ে যান। ১১ জুন ফের তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হদিশ মেলে। সেবারেও করোনামুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দু’বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ধকল সইতে পারেনি বীরভদ্র সিংয়ের শরীর। বেশ কিছু জটিল সমস্যা দেখা গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোরে প্রয়াত হন তিনি।
দীর্ঘদিন হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন বীরভদ্র সিং। ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন হিমাচলে।রাজনৈতিক আঙ্গিনায় তিনি জনপ্রিয় নাম। লোকসভার পাঁচ বারের সংসদও ছিলেন।প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয় ১৯৮৩ সালে। ১৯৯০ পর্যন্ত পরপর দুবার ওই পদে ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০০৩-২০০৭ ও ২০১২-২০১৭ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মোট ৬ বার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব সামলেছিলেন এই নেতা। উড়ান, পর্যটন, শিল্প, স্টিল, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এহেন বর্ষীয়ান নেতার প্রয়াণ আগামী বছর হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা।
বীরভদ্র সিং ছিলেন হিমাচল প্রদেশের রাজপরিবারের সদস্য। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা রাজ পরিবার। ইতমধ্যেই তাঁর মরদেহ সিমলার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। বীরভদ্র সিংয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনদিনের শোকদিবস পালনের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।