পুরীর সমুদ্রের কাছেই স্থাপিত জগন্নাথ মন্দির। কিন্তু মন্দির চত্বরে সমুদ্রের কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। কথিত আছে , সুভদ্রাদেবী চেয়েছিলেন মন্দিরের ভেতরে যেন সবসময় শান্তি বিরাজ করে। তাই কোনো প্রকার শব্দ মন্দিরের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে না।
মন্দিরের চূড়ায় যে ধ্বজা বা পতাকা রয়েছে, সেটি সবসময় হাওয়ার বিপরীতে উড়তে দেখা যায়।
মন্দিরের ওপরের অংশটিতে রত্নমূর নামের একটি বৃহৎ অদ্ভুত চৌম্বক শক্তি রয়েছে, যেটি মন্দিরটিকে যে কোনোরকমের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে ।
কথিত আছে, মন্দিরের উপর দিয়ে কিছু যেতে পারে না। কোনো পাখিকেও কখনো মন্দিরের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়নি।
এমনটা শোনা যায় যে, সূর্য যে দিকেই থাকুক, কখোনো মন্দিরের চূড়ার ছায়া মাটিতে পরে না।
পুরীতে, রথের সময় এমন কোনো বছর নেই যে সময় রথের দিন বৃষ্টি হয়নি।
কোনো রকম আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই রথ নির্মাণ করা হয়। বর্তমান সময়ের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয় না রথ নির্মাণে।
রথ নির্মাণের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য মাপগুলো হাতে নেওয়া হয়, কোনো গজ ফিতের সাহায্যে নয়। কোনো প্রকার পেরেক, নাট বল্টু, কিছুর ব্যবহার নেই এখানে।
প্রায় চোদ্দোশ’ কর্মী রথ নির্মাণ করেন। এখানে কাউকে আলাদা করে নিয়োগ করতে হয় না, কেননা সেই আদিকাল থেকে বংশপরম্পরায় যারা রথ তৈরি করে আসছিলো, তারা আজও রথ তৈরি করে যাচ্ছে।
রথ তিনটিতে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথের মূর্তি থাকে ভেতরে, যা নিমকাঠ দিয়ে তৈরি এবং প্রায় ২০৮ কেজি সোনা দিয়ে সজ্জিত।
রথ নির্মাণে যে সমস্ত কাঠ ব্যবহার করা হয়, তার উৎস হলো পুরীর কাছেই দাশপাল্লা ও রানাপুর নামের দুটি জঙ্গল। যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, তার দ্বিগুণ পরিমাণ গাছ প্রতি বছর রোপণও করা হয় জঙ্গলে।