রাফাল চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সে শুরু হয়েছে তদন্ত। এরপর থেকেই উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। ফের একবার মোদী সরকারকে টার্গেট করে বাক্যবাণ হানতে শুরু করেছে কংগ্রেস। রাফালে চু্ক্তি (Rafale deal) বিতর্ককে ইঙ্গিত করেই রবিবার সকালে টুইট করতে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে। তাঁর টুইটের পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। মোদী সরকার জেপিসি তদন্তের জন্য প্রস্তুত নয় কেন? বলে ট্যুইট করে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের এহেন টুইটের জবাবে পালটা আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। অমিত মালব্য রাহুলকে আক্রমণ করে টুইটারে লেখেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবার নিজেকে এই পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, সারা দেশের মানুষ রাহুলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের আলোচনায় উঠে এসেছে রাফালে চুক্তি। ভারত এবং ফ্রান্সের দাসল্ট অ্যাভিয়েশনের মধ্যে ৫৯ হাজার কোটি টাকার রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। আর তাই এই চুক্তির তদন্ত করতে এক বিচারককে নিয়োগ করেছে ফরাসি আইনবিভাগ।কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষে বলেন, কেন্দ্রের কাছে জাতীয় সুরক্ষা একটি শ্লোগান মাত্র। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে কেন্দ্রের সরকার জাতীয় সুরক্ষাকে একটি গুরুতর বিষয় হিসাবে বিবেচনা করে এসেছ। এবং এটি নিয়ে রাজনীতি করা থেকে বিরত থেকেছে। মোদী সরকারও বলেছে জাতীয় সুরক্ষা সবার আগে এবং এটা নিয়ে কোনও সমঝোতা করা উচিত না। কিন্তু যখন, শিল্পপতিদের পকেট ভর্তি করার কথা আসে, তখন জাতীয় সুরক্ষা কেন্দ্রের কাছে স্লোগান হয়ে ওঠে।’
কংগ্রেসের দাবি, রাফাল নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি নিয়ে মামলার খবর সামনে আসার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও সরকার নীরব। পুরো দেশ দিল্লির দিকে তাকিয়ে আছে, কেন্দ্র কেন নীরব, তা নিয়ে সরব হয়েছে হাত শিবির। কংগ্রেসের বরাবরেরই অভিযোগ, ইউপিএ আমলে যে অঙ্কে বিমান কেনার কথা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি মূল্যে ৩৬টি রাফালে বিমান ক্রয় করেছিল মোদি সরকার। বিরোধীদের দাবি, বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানে ভারত এক একটি যুদ্ধবিমান কিনেছে ১,৬৭০ কোটি টাকা করে। এদিকে ইউপিএ সরকারের আমলে ৫২৬ কোটি টাকায় প্রাথমিক বিডে দাম উঠেছিল। অর্থাৎ প্রায় তিনগুণ দামে ওই বিমান কিনেছে বিজেপি সরকার। ২০১৬ সালে ওই চুক্তি হয়। সেই সঙ্গে বিরোধীদের আরও অভিযোগ ছিল, অনিল আম্বানির সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়ে স্বজনপোষণ করেছিল সরকার।