ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহ। এ নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের (Meeting) আগে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন বার আবেদনের পরে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র সরকারের প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব। আমার বিরুদ্ধে একাধিক টুইট করা হয়। আমার ও মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই টুইট করা হয়’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি, আগে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরে গিয়ে দেখি বিজেপির (Bjp) সবাই রয়েছে। আমি একা।’’ অন্যদিকে, মুখ্যসচিবকে বদলির নির্দেশ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন মমতা। মোদীর উদ্দেশে মমতা এও বললেন, ‘আপনার পা ধরতেও রাজি’। এই নোংরা খেলা বন্ধ করুন। রাজ্যের সঙ্গে বিনা আলোচনায় কীভাবে বদলি? আলাপনের দোষটা কোথায়? দয়া করে মুখ্যসচিবের চিঠি প্রত্যাহার করুন। মুখ্যসচিবকে দিল্লি তলবের নির্দেশ প্রত্যাহার করুন। মুখ্যসচিবকে কাজ করতে দিন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাঙালি বলে এত রাগ কেন? বাংলার উপর এত রাগ কেন?’
মমতা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অন্য রাজ্যে যাবেন বলে এ রাজ্যে আসেন। আমরা তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেখা করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমার সফর ঘোষণার পর জানতে পারি উনি আসছেন। দুর্গত এলাকায় যাওয়ার কর্মসূচি আমি আগে ঘোষণা করেছিলাম। সংবাদমাধ্যমে অসত্য খবর দেয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। দেখা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।আমাদের কপ্টার আকাশে প্রায় ২০ মিনিট চক্কর কাটে। ১ মিনিট দেখা করতে চাই। আগে বলা হয়েছিল শুধু প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। বৈঠক নিয়ে ঠিকমতো বার্তা দেওয়া হয়নি। পরে দেখলাম বিরোধী দলনেতারা পৌঁছে গিয়েছেন বৈঠকে’। এ প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, ‘‘আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিঘায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের কথা ভেবেই যাই। আগে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের কথা ছিল। পরে দেখি রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা, বিজেপির সবাই রয়েছেন। বৈঠকে ডেকে অপমান করা হল। রাজ্যের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতেও রাজি তবে অপমান সইব না।’’