রাত দুটো ফোন কানে ঋতাভরী চক্রবর্তীর। অপেক্ষা করছেন একটা কলের। হঠাৎ কী হল ঋতাভরীর। এত রাতে কার কন্ঠস্বর শুনতে চেয়ে উতলা নায়িকা! বিস্তারিত জানতে পড়ুন…
স্বল্পবসনা ঋতাভরী ধরা দিলেন ফোনে। সেটা আড়ালেই রেখেছেন ঋতাভরী। ঘড়ি কাঁটায় রাত দুটো। পরনে কালো অন্তর্বাস। বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে আছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty)। ভাবছেন পোজ দিচ্ছেন অভিনেত্রী! না, কোনও ফটোশ্যুট নয়, রাত দুটোর সময় মনের মানুষের অপেক্ষায় ঋতাভরী। যাঁর গলা শোনার জন্য ব্যাকুল অভিনেত্রীর মন। কিন্ত, কে সেই মনের মানুষ? কানে ফোন নিয়ে কারও একটা সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত। এতো রাতে কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন নায়িকা?

ইনস্টাগ্রামে (Instagram) এরকমই এক ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উসকে দিলেন ঋতাভরী। কয়েকদিন আগে যেভাবে ঋতাভরীর বিয়ে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল, সেই রটে যাওয়া খবরকে যেন উসকে দিলেন ঋতাভরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট লিখলেন, ‘আমি জানি রাত ২টো বাজে… তবুও তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে ইচ্ছে করছে!’
এই ছবি দেখা মাত্রই নেটিজেনরা অভিনেত্রীকে নিয়ে শুরু করে দিয়েছেন হইচই। একের পর এক প্রশ্ন ঋতাভরীকে করেই চলেছেন নেটিজেনরা। সবার একটাই কথা, মাঝরাতে কার কণ্ঠস্বর শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন নায়িকা? তবে এসব নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ঋতাভরী। উলটে, কিচ্ছুটি না বলে আকার ইঙ্গিতে গুঞ্জনের আগুনে বারুদ ঢালছেন।
কয়েকদিন আগেই রটে গিয়েছিল, অভিনেত্রী ঋতাভরী নাকি বিয়ে করতে চলেছেন। এমনকী, গুঞ্জনে শোনা গিয়েছিল চলতি বছরেই বিয়েটা সেরে ফেলছেন ঋতাভরী। তবে এসবকে একেবারেই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। উলটে, আপাতত বিয়ে না করে কেরিয়ারেই মন দিতে চান তিনি। ঋতাভরীর এসব মন্তব্যে খুব একটা কান দিতে চাইছেন না।
বিউটি উইথ ব্রেনস বলতে যা বোঝায় Ritabhari Chakraborty ঠিক তাই। ইউনির্ভাসিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (UCLA) থেকে সদ্য স্নাতক হন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। কেরিয়ারের পাশাপাশি পড়াশোনাও সমানভাবে চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বিষয় ছিল ‘আ্যকটিং ফর ক্যামেরা প্রোগ্রাম’। ২০১৮ সালে ঋতাভরী UCLA বিশ্ববিদ্যালয়ে আ্যডমিশন নেন। সেই খবর কারও আজানা নয়। তবে সেই সময় কাজের চাপে বিদেশে যেতে পারেননি তিনি। ২০২০ সালে সারা বিশ্ব করোনার মুখোমুখি হয়। তখন একমাত্র ভরসা র্ভাচুয়াল ক্লাস। সেই সময় ঋতাভরীর প্রোগাম হেড ব্রায়ান ফ্যাগান তাঁকে কোর্স শেষ করার কথা বলেন। ঝটপট হ্যাঁ বলে দেন ঋতাভরী।তিনি লেখেন, ‘এটাই ছিল আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত’।