27 C
Kolkata
27 C
Kolkata
শনিবার, মার্চ 25, 2023

সামান্য স্বস্তি! করোনা যুদ্ধে জয় নিয়ে আশাবাদী দেশ

আশা জাগাচ্ছে করোনার (COVID-19) গ্রাফ। এদিন ফের নিম্নমুখী আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে মৃতের সংখ্যাও। আশা জাগিয়ে দেশে বাড়ছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৯ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩০ জনের।

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৯৯ জন। শুক্রবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এদিন কম। শুক্রবার ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৫১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও কমেছে। শুক্রবার যেখানে৪ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে শনিবারের রিপোর্ট বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়া নিঃসন্দেহে আশার জাগিয়েছে দেশবাসীর মনে। তাছাড়া এদিন সুস্থতার হারও সামান্য বেড়েছে। শুক্রবারের সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৯৫ জন। শনিবার এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬৩০ জন। দৈনিক আক্রান্তের থেকে এদিনও সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, জুন মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই কমবে সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারে ঠেকবে। কিন্তু এর পাশাপাশি আগাম সংকট প্রসঙ্গে সতর্কও করছেন গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যদি টিকাকরণ ঠিকমতো না হয় বা সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে না চলেন সাধারণ মানুষ, সেক্ষেত্রে পাঁচ-ছয় মাস পরে ফের আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ।

হায়দ্রাবাদের তিন গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ড. এম বিদ্যাসাগর জানান, টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা করোনার প্রথম ঢেউয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পেরেছিলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেখা যাচ্ছে তাঁদের ইমিউনিটি কমছে।’

করোনার সংক্রমণ এড়াতে কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ থাকলে এগজস্ট ফ্যান  চালিয়ে রাখা ভালো। ঘরের ভিতরে করোনার সংক্রমণ থেকে সর্বাধিক সুরক্ষার জন্য একটি পেডেস্টাল ফ্যানকে  এগজস্ট ফ্যানের দিকে মুখ করে চালিয়ে দিন। এতে ঘরটি ভাইরাসের কবল থেকে অনেকটা মুক্ত হতে পারবে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাড়ির দরজা-জানলা বেশিরভাগ সময় খোলা রাখা ভালো। বাড়িতে এগজস্ট ফ্যান লাগানো যেতে পারে। অফিস, অডিটোরিয়াম, শপিং মল ও অন্য ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিতভাবে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা পরিস্কার করে রাখতে হবে। হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকেও অবশ্যই ঘরগুলিতে হাওয়া ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালগুলিতে করোনার টিকাকরণ অভিযান চলছে, সেখানেও এই একই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘জাহাঁ বিমার, বঁহা উপচার-এই স্লোগানকে মাথায় রাখতে হবে আমাদের। এদিকে যোগভ্যাস নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি যখন যোগভ্যাসের কথা বলেছিলেন, তখন তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করা হত। যোগাসনকে সাম্প্রদায়িকতার রঙে দেখা হয়েছিল। অথচ, এখন যোগাসনই করোনা রুখতে সাহায্য করেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।

- Advertisement -spot_img

Latest news

- Advertisement -spot_img

Related news

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.