শিশুদের উদ্বেগ এবং অবসাদ কাটাতে পোষ্যর কোন তুলনা নেই। বিশেষ করে অতিমারির সময় যখন বহু শিশুই বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না, অনলাইন ক্লাসে ব্যস্ত-তাদের অবসাদ আসা স্বাভাবিক। একমাত্র আপনার বাড়ির পোষ্যটি পারে আপনার শিশুটির হতাশা বা উদ্বেগ দূর করতে।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে অনেক সুবিধা, শুধু একসাথে কাটানোর সময় নয় পোষ্যর কাছ থেকে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারে।
গবেষকদের মতে, পরিবার ছোট হবার কারণে শিশুদের খেলার সঙ্গী কমেছে বাড়িতে। অতিমারির কারণে পার্কে খেলতে যাওয়া বন্ধ, ফলে মোবাইল বা ল্যাপটপ এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে আপনার ক্ষুদেটি। এই আসক্তি কমানোর একমাত্র উপায় পোষ্যর সাথে সময় কাটানো। পোষ্যর সঙ্গে থাকলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ খুব দ্রুত হয়।এমনকি পোষ্যর সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমালে শিশুমনে নিরাপত্তাবোধ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। ঘুমও খুব ভালো হয়। কুকুরের শরীরের উষ্ণতা শিশুর ঘুম গভীর করে।
গবেষণা বলে, কুকুর পাশে থাকলে শিশুদের মস্তিষ্কে থেটা তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। এছাড়া এমন কিছু শিশু আছে যারা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে চায়না |
নিজে স্নান করতে চায় না, খেতে চায় না, ঘুম থেকে উঠতে চায় না; এদের দায়িত্ব শেখাবার জন্য পোষ্য খুবই উপকারী। পোষ্যর কিছু দায়িত্ব আপনার শিশুকে দিয়ে দিন। পোষ্যকে পার্কে হাঁটাতে নিয়ে যাওয়া,খাওয়ানো বা খেলানোর দায়িত্ব যদি শিশুর ওপর থাকে তাহলে অনায়াসে আপনার শিশুর দায়িত্ববোধ বেড়ে যাবে এক লাফে।
কুকুর-বিড়াল ছাড়া বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে পারেন। এতে শিশুর মন ভালো থাকে।
সমীক্ষার মধ্যে বাড়িতে পোষ্য থাকলে সামাজিক সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়। যেসব বাচ্চারা পোষ্যর সঙ্গে বড় হয়ে ওঠে, তারা অন্যান্য জীবিত প্রাণীর সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়।