ফের উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে বড়সড় ধাক্কা। ইন্টারভিউর তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জুলাই।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ১০ হাজার ৫০০ পার্শ্ব প্রাইমারি টিচার পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ৭ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক মার্চের মধ্যে নিয়োগ করা হবে। সবমিলিয়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। সেই ঘোষণার পরই চলতি বছরের ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,৩৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়। এরপরই ইন্টারভিউয়ের তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। মামলাকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই। তার ফলে বেশি নম্বর পাওয়া অনেক প্রার্থীর নামই তালিকায় নেই। অন্যদিকে কম নম্বর পাওয়া অনেকের নামই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই এসএসসি (SSC) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এসএসসি-র তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অবিলম্বে প্রকাশিত তালিকা বাতিল করে মোট নম্বর উল্লেখ করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করার আবেদনও করেছিলেন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ১০ হাজার ৫০০ পার্শ্ব প্রাইমারি টিচার (Teachers Recruitment) পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ৭ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক মার্চের মধ্যে নিয়োগ করা হবে। সবমিলিয়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
বুধবার এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে মামলায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি হবে ৯ জুলাই। আদালতের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় চাকরি প্রার্থীরা।