ল্যান্ডফল করে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ঘেঁষে গিয়েছে ইয়াস । প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে চলে ল্যান্ডফল। দূরত্বের জেরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব থেকে বাঁচল কলকাতা। আগামী ৩ ঘন্টা পর থেকে ক্রমশ শক্তি হারাবে প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে, ইয়াসের জেরে এদিন কলকাতা সহ সংলগ্ন জেলাগুলোতে বৃষ্টি চলবে। পূর্বাভাস আগামিকাল প্রবল বৃষ্টি হবে ঝাড়খণ্ডে।
তবে তার আগে থেকেই রাজ্যের উপকূলে বহু এলাকার পরিস্থিতি সঙ্গীন। হচ্ছে বিপুল বৃষ্টি ও জলস্ফীতির জেরে। ভরা কোটাল এবং ইয়াসের জোড়া ধাক্কায় উভয়সঙ্কট দক্ষিণবঙ্গের একাধিক স্থানের। দুর্যোগ মোকাবিলায় করতে বাংলায় সেনা নামানো হয়েছে ।
ইয়াসের জেরে লন্ডভন্ড দিঘা। উত্তাল দিঘার সমুদ্র। পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে সামিদ্রিক জলচ্ছ্বাস দেখা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই দুই জেলায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল প্রশাসনও। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়। বাংলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পরার আগেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ জেলায় নামানো হয় সেনা। হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর , পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমে ১৭ কোম্পানি সেনা নামানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় তৎপর ভারতীয় সেনা। বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে ত্রাণের সামগ্রী।
ইয়াস পরিস্থিত সামলাতে যে সেনা নামানো হতে পারে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমুন্ত্রী। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেনা নামানো হবে’।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে মমতার সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ৷ সেইসঙ্গে টুইটে জানালেন, নবান্নের কন্ট্রোল রুমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷