আরও একবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৈরথ দেখতে চলেছে গোটা বাংলা।এর আগে নন্দীগ্রামে দৈরথ দেখেছিল বাংলা। সেখানে তৃণমূলের তরফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও প্রবল পরাক্রমের সঙ্গে নিজের প্রবল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বাজেয়াপ্তও হয় জামানত। কিন্তু সেই লড়াইয়ে চলে আসেন প্রচারের আলোয়। রাজ্যের মানুষের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । তাই ভবানীপুরে প্রার্থী করা হোক তাঁকেই। দাবি উঠল আলিমুদ্দিনের অন্দরেই।
নন্দীগ্রামে খুব অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো এক বিধানসভা থেকে জিতে আসতে হবে। এইবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজের গড় ভবানীপুরকেই বেছে নিয়েছেন। সেখানে বামেদের তরফ থেকে কে প্রার্থী হবেন, সেই ভাবনা চিন্তা চলছে।
জোটের শর্ত অনুযায়ী, ভবানীপুর কংগ্রেসের আসন। সেখানে দলের যুব সভাপতিকে প্রার্থী করে বিধানভবন। কিন্তু উপনির্বাচনে জোট করে লড়াইয়ের পক্ষপাতী নয় আলিমুদ্দিনের বড় অংশ। সেখানে মোর্চা নয়, পার্টি এককভাবে লড়াইয়ের ময়দানে থাকুক। দাবি এই অংশের। আবার তাঁরাই চাইছেন মীনাক্ষীকেই সামনে রেখে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই হোক।
প্রার্থী বাছাই নিয়ে কিছুটা দোলাচলে রয়েছে আলিমুদ্দিন। এখন দেখার শেষপর্যন্ত বামেদের সিধান্ত কোন দিকে গড়ায়!