রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে এই কমিটি গড়তে হবে। এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য ও কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির সদস্য। ভোটের পরও যাঁরা ঘরছাড়া, তাঁদের ঘরে ফেরানোর বিষয়েই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। তারপর থেকে রাজ্যে হিংসার আবহ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দলকে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই মর্মে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলার শুনানি শুরু হয়। পাঁচ সদস্যের ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। রাজ্য সরকারের তরফে ওই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে জানানো হয়, অশান্তি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের তরফে ২৭ পাতার হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে এই জনস্বার্থ মামলার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রাজ্যের বক্তব্য, ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। তার পরের দু’দিন কিছু ঘটনা ঘটলেও এখন সব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের পর্যবেক্ষণ- ভোট পরবর্তী হিংসায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ রাজ্যকেই দিতে হবে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে রাজ্যকে।